১৯৯০ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে মাসিক
৬,০০০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন–ভাতা গ্রহণ করে এ পদে
ছিলেন। তাঁর এমডি থাকা সময়ে এবং পরবর্তীকালে তিনি যে বিপুল সম্পদ সঞ্চয় করেছেন বলে অভিযোগ
রয়েছে, তার একটি আংশিক তালিকা নিচে উপস্থাপিত হলো—

  1. ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব (২০২3): মোট ব্যালান্স আনুমানিক ১১৮ কোটি টাকা (প্রায় ১১.৮
    মিলিয়ন মার্কিন ডলার)

o স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক: হিসাব নং 18121274701

o সাউথইস্ট ব্যাংক: হিসাব নং 0212100020061

o রূপালী ব্যাংক: হিসাব নং 0489010008096

  1. ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডে অর্থ স্থানান্তর (অভিযোগ: মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে)

o হিসাব নং 73300000339 — ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা

o হিসাব নং 90303160910 — ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা

  1. গ্রামীণ কল্যাণ ফান্ড: ২৬টি ব্যাংকের ১২২টি এফডিআরে মোট ২,০৫৩ কোটি টাকা।
  2. গ্রামীণ টেলিকম: ২৪টি ব্যাংকের ১২৮টি এফডিআরে মোট ২,৭২১ কোটি টাকা।
  3. প্রফেসর ইউনূস ফাউন্ডেশন হিসাবের ব্যালান্স: ৬ কোটি টাকা।
  4. ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট ফান্ড: ৫ কোটি টাকা।
  5. প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্ট: ৭২.১৫ কোটি টাকা।
  6. গুলশানে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট—ফ্যামিলি ট্রাস্টের নামে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা।
  7. প্যারিসে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট এবং দুটি প্রাইভেট ব্যাংকে ইকুইটি শেয়ার।
  8. পুর্বাচলে ৬৮ একর জমিতে ‘নৈঔর্ষগ’ (Naiorshog) নামে একটি রিসোর্ট প্রতিষ্ঠা।
  9. ঢাকার উত্তরায় ৫ একর জমি।
  10. কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে ‘নৈঔর্ষগ’ নামে আরেকটি রিসোর্ট।
  11. ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিডিএ থেকে ৮৭ কাঠা জমি ‘আনন্দা স্কুল’ স্থাপনের
    উদ্দেশ্যে বরাদ্দ—স্কুলটি নির্মিত হয়নি বলে অভিযোগ।
  12. দেশজুড়ে বিভিন্ন গ্রামীণ-সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের নামে কমপক্ষে ৬,০০০ কোটি টাকার জমি
    ক্রয়।
  13. ‘সোশ্যাল বিজনেস’ বিনিয়োগের আড়ালে ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায় বিপুল
    অবৈধ পুঁজি পাচার—এমন অভিযোগ।
  14. গ্রামীণ ব্র্যান্ডের অসংখ্য সংস্থা—গ্রামীণ ব্যাংকের নামে পাওয়া বিদেশি গ্র্যান্ট/এইড দিয়ে
    প্রতিষ্ঠা, পরে ‘অপারেশনাল খরচ’-এর নামে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার
    অপব্যয়/অপব্যবহার—এমন অভিযোগ।
  15. কর ফাঁকি (গ্রামীণ-সংশ্লিষ্ট সত্তাসমূহ):
    (ক) গ্রামীণ কল্যাণ — ৮৩০ কোটি টাকা
    (খ) গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট — ২০৯ কোটি টাকা
    (গ) গ্রামীণ শক্তি — ৪৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
    (ঘ) গ্রামীণ ওয়াটার লিমিটেড — ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা
    (ঙ) গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন — ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা
    (চ) গ্রামীণ ট্রাস্ট — ১ কোটি ৭ লাখ টাকা
    (ছ) গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন — ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা
    (জ) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত আয়কর ফাঁকি — ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা
    — (পরবর্তীতে আদালতে কর মামলায় পরাজিত হয়ে ৮ বছর পর নিষ্পত্তি)

সূত্র:
(ক) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU)
(খ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ও সংশ্লিষ্ট আয়কর কর্তৃপক্ষ
(গ) দুর্নীতি দমন কমিশন (ACC)
Source: Business NewsWire

Share.
Leave A Reply

Translate »
Exit mobile version