কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা রক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে একাধিকবার নিশ্চিত করেছেন যে, হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা কেউ মারা যাননি, তারা স্বাভাবিক আছেন।
তিনি বলেন, ‘এই হামলা প্রাথমিকভাবে হামাস ও কাতারকে লক্ষ্য করে হলেও, এটি সকল আরব, মুসলিম ও সারা বিশ্বের মুক্ত মানুষের ওপর আগ্রাসন।’
‘গাজা যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে আলোচনাকারীদের হত্যার চেষ্টা- মুক্ত বিশ্বকে অবশ্যই এই জঘন্য অপরাধ প্রত্যাখ্যান করতে হবে’, বলেন সুহাইল।
ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বলেন, ‘নিন্দা ও বিবৃতি যথেষ্ট নয়।’
এর আগে, দোহায় হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
আল জাজিরা জানায়, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে ‘অপরাধমূলক হামলা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক সব আইন ও নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েল এই হামলার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছে।’
এ কথার মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সহায়তা ছাড়াই ইসরায়েল একাই এই হামলা চালিয়েছে।
কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, ‘হামাসের আবাসিক সদর দপ্তর’ লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখন ‘নিরাপদ’।
হামাসের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া প্রতিনিধি দলটি ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিল।
জাতিসংঘ, ইরাক, জর্ডান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।