নিজাকাত খান দুই দফায় নেটে ব্যাট করলেন, অনুশীলন সেরে খানিক জিরিয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন, ‘আপনারা এখনো আছেন? আচ্ছা চলুন কথা বলা যাক।’ টুর্নামেন্টের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন নেই দেখে হংকং দলকে ঘিরে একটু বাড়তি আগ্রহ। নিজাকাত হয়ত টের পেলেন তাকে ঘিরেই আগ্রহের কারণ। এক দশক আগে সেই ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে তিনি একটা তেতো স্মৃতি উপহার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে পুরনো স্মৃতিতে ডুব দিয়ে নতুন বিশ্বাসের কথা জানালেন তিনি।

টি-টোয়েন্টিতে হংকংয়ের বিপক্ষে একটাই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, সেই অভিজ্ঞতা ভুলে যাওয়ার মতনই। চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিলো দুই উইকেটে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দিতে লেগ স্পিনে নিজাকাত নিয়েছিলেন ১৯ রানে ৩ উইকেট।

সেই ম্যাচের কথা মনে করতেই মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল তার,  ‘এটা খুবই বিশেষ ছিলো কারণ বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মাঠে হারানো। আমরা খুব ভালো করেছিলাম, বিশেষ করে আমি ভালো করেছিলাম। আমাদের স্পিনাররা খুব ভালো খেলেছিলো, হ্যাঁ এটা খুব স্মরণীয় স্মৃতি। আমি আর নাদিম আহমেদ ভালো বল করেছিলাম সত্যিই মনে আছে। আমরা একটা জুটি হিসেবে বল করেছিলাম যে কারণে বাংলাদেশ ধসে গিয়েছিলো।’

২০১৪ সালের বাংলাদেশের সেই দলের কেউই নেই এবারের দলে। সময় পেরিয়ে গেছে ঢের, দুই দলের আর একবারও দেখা হয়নি। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর আবুধাবিতে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংকে পাবে বাংলাদেশ।

নিজাকাত জানালেন, খেলাটা কুড়ি ওভারের বলে আবারও একই ফলের বিশ্বাস আছে তাদের,  ‘অবশ্যই আমাদের সেই বিশ্বাস আছে। আমাদের সেরকম খেলোয়াড় আছে যারা ম্যাচ জেতাতে পারে। আর টি-টোয়েন্টি এমন এক যারা দুই তিন ওভার খুব ভালো খেলে, দারুণ বল করে। টি-টোয়েন্টি খুব মজার খেলা, কে জানে। আমাদের দল ভীষণভাবে তৈরি আছে।’

নিজাকাতের প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান নেই বাংলাদেশ দলে। তবে জানেন যারা আছেন তারা বিশ্বমানের, সাম্প্রতিক ভালো সময়ও যাচ্ছে তাদের।

সেবার চট্টগ্রামের সাগরিকার মাঠে স্পিন দিয়ে বাংলাদেশকে হারানো হংকং এবারও বাংলাদেশক একই অস্ত্রে ঘায়েল করতে চায়, ‘আমাদের শক্তির জায়গা স্পিন বোলিং বিভাগ, মোরতাজা আছে, এহসান খান আছে। ব্যাটাররদের মধ্যে বাবর হায়াত, জিসান আলি, আইজাজ খান আছে। যারা ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে এনে দিতে পারে। ‘

Share.
Leave A Reply

Translate »
Exit mobile version