✍️ শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক)ব্রিটিশ আইন সংস্থা ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্স আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) বিধিমালার ধারা১৫ অনুযায়ী একটি কমিউনিকেশন প্রস্তুত করছে। ধারা ১৫–এর আওতায় আইসিসির এখতিয়ারভুক্তalleged (আভিযোগিত) অপরাধের শিকাররা এসব অপরাধ প্রসিকিউটরের নজরে আনতে এবং তদন্তেরআবেদন করতে পারেন।২০২৪ সালের ৮ আগস্ট ড. ইউনূস বাংলাদেশের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য,সরকারি কর্মচারী, প্রগতিশীল কর্মসূচির সমর্থক ও কর্মী, সংখ্যালঘু এবং সাবেক সরকারদল আওয়ামীলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিনা প্ররোচনায় সহিংস হামলা ঘটেছে—এমন অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে— হত্যা, মিথ্যা ফৌজদারি মামলায় নির্বিচার কারাবন্দি করা (বিশেষত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে), পরিকল্পিত লুটপাট, অপ্রতিরোধ্য মব হিংসা, রাষ্ট্রপৃষ্ঠপোষক নির্যাতন ও ভাঙচুর, এবং …
Author: ইঞ্জিনিয়ার শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক)
✍️ ইঞ্জিনিয়ার শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক)ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান আধুনিক ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্র অর্থায়নেরধারণার পথিকৃৎ হওয়ার জন্য। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। “প্রদীপের নিচেই সবচেয়েঅন্ধকার”—এই প্রবাদবাক্যের আলোকেই গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টির কিছু অল্প-পরিচিত তথ্য ও সংশ্লিষ্টবিষয়ে আলোকপাত করে পাঠকদের সামনে ড. ইউনূস সম্পর্কে ভারসাম্যপূর্ণ ধারণা উপস্থাপনই এইলেখার লক্ষ্য। গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্ভব: রাষ্ট্রের বিশেষ সুরক্ষা ও সুবিধাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সহজ-শর্তে ঋণদেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সালে ড. ইউনূস একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেন, যা ১৯৭৯ সালে টাঙ্গাইলেসম্প্রসারিত হয়। সফলতার পর তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী জামানতবিহীন ঋণ বিতরণ ও আদায় নিশ্চিত করতেবাংলাদেশ সরকার প্রকল্পটিকে ব্যাংকে রূপান্তরের উদ্যোগ…
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে গত ১২ মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মোট ১২টিদেশ সফর করেছেন—যুক্তরাষ্ট্র, আজারবাইজান, মিসর, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন,থাইল্যান্ড, কাতার, ভ্যাটিকান সিটি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া।যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া সফর বাদ দিয়ে বাকি ১০টি সফরের খরচ প্রায় ২,৬০৮ কোটি টাকা (২৬ মিলিয়নমার্কিন ডলার)। এ সময় তিনি বিদেশে কাটিয়েছেন ৭০ দিন। কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো—বাংলাদেশ এসব সফরথেকে কী পেয়েছে? কনফারেন্সে যোগ, ছবি তোলা, অথচ অর্জন শূন্যড. ইউনূসের প্রথম ১১টি সফরের বেশিরভাগই কোনো বিদেশি সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে নয়; বরংআন্তর্জাতিক সংস্থার কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার জন্য। কয়েক ক্ষেত্রে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট বাজাপানের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এ ধরনের সফরে সরকার-সরকারি কোনো…
✍️ লেখক: ইঞ্জিনিয়ার শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক)ড. মুহাম্মদ ইউনুস যখন জোরপূর্বক বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন, এটি শুধুঅপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক ঘটনা ছিল না—বরং ছিল এক পরিকল্পিত ইসলামপন্থী পুনরুত্থানের সূচনা।শুরু থেকেই ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল যে এই সরকার জঙ্গিবাদী উপাদানকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেবে।কারণ ইউনুস ক্ষমতায় এসেছেন সেই রাজনৈতিক মহল ও নেটওয়ার্কের সমর্থনে, যারা বহু বছর ধরে উগ্রইসলামপন্থার সঙ্গে জড়িত। মুফতি রহমানীর মুক্তি: জঙ্গি তুষ্টির প্রথম সংকেতইউনুস ক্ষমতায় আসার মাত্র ১৬ দিনের মাথায়, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের(এবিটি) প্রধান মতাদর্শী মুফতি জাসিমউদ্দিন রহমানী জামিনে মুক্তি পান। আল-কায়েদার প্রচারকআনোয়ার আল-আওলাকির অনুসারী রহমানী ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার হত্যায় প্ররোচনার দায়েদণ্ডপ্রাপ্ত।তার মুক্তির পরপরই একটি…
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT-BD), যা অসাংবিধানিক ও অবৈধ ইউনূস সরকারেরঅধীনে পুনর্গঠিত হয়েছে, এখন একটি “ক্যাঙ্গারু কোর্ট”-এ রূপ নিয়েছে। পক্ষপাতদুষ্ট ও অনুগত বিচারকএবং প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে পরিচালিত এ আদালত কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডসম্মতন্যায়বিচার দিতে সক্ষম নয়। পক্ষপাতদুষ্ট প্রসিকিউটররাইউনূস সরকার জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির (জামায়াতের ভিন্নধারা) দীর্ঘমেয়াদি কর্মী অ্যাডভোকেটতাজুল ইসলামকে প্রধান প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গণহত্যাও মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। তাজুল ছাড়াও ICT-BD’রঅন্যান্য প্রসিকিউটরদেরও জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা কিংবা জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীদেরপক্ষে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার রেকর্ড রয়েছে।এছাড়া বিএনপি-জামায়াত ঘনিষ্ঠ যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক লবিস্ট টবি ক্যাডম্যানকেওপ্রসিকিউশনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে—যা প্রতিহিংসামূলক উদ্দেশ্যের পূর্ণতা ঘটিয়েছে।তাজুল…
১৯৯০ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে মাসিক৬,০০০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি নিয়মিত বেতন–ভাতা গ্রহণ করে এ পদেছিলেন। তাঁর এমডি থাকা সময়ে এবং পরবর্তীকালে তিনি যে বিপুল সম্পদ সঞ্চয় করেছেন বলে অভিযোগরয়েছে, তার একটি আংশিক তালিকা নিচে উপস্থাপিত হলো— o স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক: হিসাব নং 18121274701 o সাউথইস্ট ব্যাংক: হিসাব নং 0212100020061 o রূপালী ব্যাংক: হিসাব নং 0489010008096 o হিসাব নং 73300000339 — ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা o হিসাব নং 90303160910 — ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা সূত্র:(ক) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU)(খ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ও সংশ্লিষ্ট আয়কর…
এক উত্তাল সময়ে বিপজ্জনক নজির২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জাতির রাজনৈতিক যাত্রায় এক সংকটময় অধ্যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতেশাসনব্যবস্থা নিয়ে ন্যায্য সমালোচনা থাকলেও, আওয়ামী লীগ একটি দল যা ঐতিহাসিক গুরুত্ব,সাংবিধানিক বৈধতা এবং বৃহৎ গণভিত্তি বহন করে। তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা আসলেসেই গণতান্ত্রিক আদর্শকেই ধ্বংস করে যা পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়। আইনি ও নৈতিকউভয় দিক থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা এবংগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মৌলিক নীতিকে হুমকির মুখে ফেলে। ১. আইনি ও সাংবিধানিক লঙ্ঘনআওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় আইনের পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানরাজনৈতিক সমিতি ও অংশগ্রহণের অধিকার (অনুচ্ছেদ ৩৭,…
— বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতিড. ইউনূস এবং কিছু বিদেশি মহলের ঘোষণাটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক, রাষ্ট্রবিরোধী এবংজঙ্গি-সহায়ক। এটি বাংলাদেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে।ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষণা করছে যে, তাদের সকল কার্যক্রম চলবেসংবিধান, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে। এ ধরনের ঘোষণা কেবল অসাংবিধানিক ওআইনবহির্ভূতই নয়, এটি জনগণের রায় ও সার্বভৌমত্বেরও পরিপন্থী। এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ওমর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে এমন ষড়যন্ত্রকে সমর্থন বা সহনশীলতারকোনো স্থান নেই।বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার বিকাশ ও একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠায়আওয়ামী লীগের অবদান অনস্বীকার্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলারমানুষ নিরঙ্কুশভাবে তাঁকে…
— বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতিপ্রেস বিজ্ঞপ্তি | অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক ড. ইউনূসের নেতৃত্বেতথাকথিত অস্থায়ী সরকার বাংলাদেশের জন্মদাতা রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকলকার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক, বেআইনি ও অন্যায়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটি শুধুঅসাংবিধানিক, বেআইনি বা অন্যায় নয়—এটি জনগণের অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে গৃহীত এক সিদ্ধান্ত, যাগোটা জাতিকে বিস্মিত করেছে। দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষ এই বর্বর কর্মকাণ্ডে স্তম্ভিত হয়েছে।এরকম এক অসভ্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করার ভাষা আমাদের নেই।বাংলার জাতি গঠনে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের অবদান অনস্বীকার্য। বলা যায়,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলাদেশের জন্মহয়েছে।…
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললেই আওয়ামী লীগ ও ফ্যাসিস্টের ‘দোসর’ বলে তকমা দেওয়া, সামাজিক মাধ্যমে হেনস্তা, এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিতর্ক, মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল বা ভাষ্কর্য – এমনকি জাদুঘরের ওপর হামলার মতো বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে। আওয়ামী লীগের শাসনের পতনের পর থেকে দলটির সঙ্গে ‘৭১কে মিলিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলছেন নাগরিক অধিকার নিয়ে সরব ও বিশ্লেষকদের অনেকে। সবশেষ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি আলোচনা সভায় ‘মব’ সৃষ্টি করে যাদের হেনস্তা করা হয়েছে, তাদেরই নানা ধরনের ট্যাগ দেওয়া এবং মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর ঘটনা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনীতিকদেরও কেউ কেউ…