Author: ইঞ্জিনিয়ার শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক)
গণমাধ্যমের গলায় শিকল ও অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে মুক্তসাংবাদিকতার সংঘাত২০২৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকায় অস্থায়ী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীরএক সংবাদ সম্মেলনে দিপ্ত টিভির সিনিয়র সম্প্রচার সাংবাদিক মিজানুর রহমান ও মাহমুদ শাওন, চ্যানেলআই-এর সিনিয়র প্রতিবেদক রফিকুল বাসার এবং এটিএন বাংলার বিশেষ সংবাদদাতা মো. ফজলে রাব্বীরকরা প্রশ্নগুলোই তাদের চাকরিচ্যুতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।ছবি: ড. মুহাম্মদ ইউনুসের অনুসারীদের দ্বারা মিডিয়া অফিসে হামলাউপদেষ্টা ফারুকী এবং কিছু মহল মনে করেন, ‘জুলাই বিদ্রোহে’ নিহত ১,৪০০ জনের তথ্য ও উৎসসম্পর্কে প্রশ্ন করা শহীদদের প্রতি অবমাননা এবং গণহত্যা অস্বীকারের সূক্ষ্ম প্রচেষ্টা হিসেবে দেখাহয়েছে।দিপ্ত টিভি কর্তৃপক্ষ মিজানুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করেছে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, “অভ্যন্তরীণকারণে সাময়িকভাবে সংবাদ কার্যক্রম স্থগিত…
২০২৪ সালের আগস্টে নির্বাচিত সরকারকে বিতর্কিতভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। নির্বাচনবিহীন এই ক্ষমতাগ্রহণকে অনেকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ প্রেক্ষাপটেসংবাদমাধ্যমের প্রতি ইউনূস সরকারের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী আচরণ অপ্রত্যাশিত ছিল না।গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পরিবর্তে তাঁর সরকার ভিন্নমত দমনে এবংসংবাদমাধ্যমকে স্তব্ধ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন আইনি অস্ত্র, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং আতঙ্কেরপরিবেশ তৈরি করে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে শ্বাসরুদ্ধ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর দমনপীড়ন বৃদ্ধিক্ষমতায় আসার অল্প সময়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বিতর্কিত অধ্যাদেশ জারি করে: সাইবারনিরাপত্তা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫। ডিজিটাল অধিকার সুরক্ষারনামে আনা এই আইনগুলো বরং সাংবাদিক…
– শেখ হাসিনা ফ্যাক্টরবাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের গোপন রহস্য ছিল স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যা অর্থনৈতিকপ্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। রাজধানী ঢাকা ছিল বিনিয়োগকারীদের কেন্দ্রবিন্দু এবংসরকারের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র।এই সাফল্যের পেছনে যে মানুষটি নেপথ্যের কারিগর ছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেনসুপরিচিত পুলিশ কমিশনার মি. হাবিবুর রহমান। তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য এক রোলমডেল। তাঁর নেতৃত্বে একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, যা ব্যবসায়ীদের আস্থা জুগিয়েছিল, ফলেব্যবসা-বাণিজ্যের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি সারা দেশে অসংখ্য সামাজিক ওদাতব্য কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, যা তাঁকে এক অসাধারণ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আলাদা পরিচিতিদিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক অর্জনশেখ হাসিনা সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্য নিয়ে কেউ দ্বিমত…
দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত স্থিতিশীল গণতন্ত্রেরপথে পদক্ষেপ নয়বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে যখন “প্রধান উপদেষ্টা” হিসেবে সরকারপরিচালনার দায়িত্ব নিতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, তখন অনেকেই আশা করেছিলেন স্বাধীনতার পরথেকে যে দোলাচলপূর্ণ স্বৈরশাসন চলছে, সেখান থেকে মুক্তির পথ তৈরি হবে। তার নেতৃত্বাধীন নতুনসরকারে যোগ দেন তরুণ ও আপাতদৃষ্টিতে আদর্শবাদী ছাত্রনেতারা, যারা শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলেরঅবসান ঘটানো আন্দোলন থেকে উঠে এসেছিলেন। অনেকে ভেবেছিলেন, ধুলা-মাটি ঝরে গেলে হয়তোবাংলাদেশে আবার এক প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের উত্থান ঘটবে।কিন্তু সেই আশা এক বছরেরও কম সময়ে ভেঙে যায়। গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা দেশের সন্ত্রাসবিরোধীআইনের আওতায় শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এটি…
দেশের প্রাচীনতম দলকে নিষিদ্ধ করা স্থিতিশীল গণতন্ত্রের পথে বিনিয়োগকারীরা যে পদক্ষেপ আশাকরেছিলেন, তা নয়।যখন বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে “প্রধান উপদেষ্টা” হিসেবে সরকারপরিচালনার জন্য দেশে ডাকা হলো, তখন অনেকেরই আশাবাদ ছিল যে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকেচলে আসা টালমাটাল স্বৈরশাসনের দুষ্টচক্র থেকে দেশ অবশেষে বেরিয়ে আসবে। তাঁর নতুন সরকারে অনেকতরুণ ও আপাতদৃষ্টিতে আদর্শবাদী ছাত্রনেতা যুক্ত হয়েছিলেন—যাঁরা দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা আন্দোলন থেকে উঠে এসেছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, হয়তো ধুলা ঝরে গেলেবাংলাদেশে আবারও একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম ঘটবে।কিন্তু সেই আশার স্থায়িত্ব ছিল না এক বছরও। গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা দেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনব্যবহার করে হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।…
অবৈধ ইউনুস সরকারের ছত্রছায়ায় জঙ্গি উত্থান ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকি✍️ ইঞ্জি. শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অ্যাকশন কাউন্টার টেররিজম সার্টিফাইড প্রফেশনাল,যুক্তরাজ্য) অবৈধ দখল ও জঙ্গিদের উত্থান৫ আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে হিজবুত তাহরীর, জামায়াত-ই-ইসলামী, হেফাজতেইসলামসহ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলো আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ‘তাওহিদি জনতা’র ব্যানারে একধরনের জনতার সন্ত্রাস কায়েম হয়েছে। ভূরাজনীতিতে নতুন অশনি সংকেত তুরস্ক ও পাকিস্তানের আইএসআই-এর সহায়তায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে। ৫০,০০০ প্রশিক্ষিত বিহারি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে পুলিশ স্টেশন ও অস্ত্রাগারে হামলাচালিয়েছে। আধুনিক অস্ত্র ও ড্রোন কেনার আড়ালে সন্ত্রাসী চুক্তির অভিযোগ উঠছে। নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর উত্থান ২০২৪ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ২,২০০ হামলার রেকর্ড। …
✍️ ইঞ্জিনিয়ার শফিক ইসলাম (রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য)ভূমিকা২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে ভূমিকম্প হলো, তা দেশের ইতিহাসে অন্যতমঅস্থির অধ্যায়। দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণআন্দোলন ও সহিংসতার প্রেক্ষাপটে পদত্যাগও নির্বাসনে যেতে বাধ্য হলে নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটিঅন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সামাজিক উদ্ভাবনের বিশ্বখ্যাত প্রবক্তা হিসেবে নিরপেক্ষ ভাবমূর্তিনিয়ে তিনি গণতান্ত্রিক সংস্কার, জাতীয় ঐক্য ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতার রোডম্যাপ তৈরির দায়িত্বপান।কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই দেশি-বিদেশি বিতর্কে তাঁর প্রশাসন জড়িয়ে পড়ে। বিশেষত শেখ হাসিনারআওয়ামী লীগ ও মিত্রগোষ্ঠীর অভিযোগ—ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নব্য-ফ্যাসিবাদীচর্চায় লিপ্ত: ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ, মতদমন, বিচারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও উগ্র/সাম্প্রদায়িক শক্তিকেপ্রশ্রয়। রাজনীতির বাইরে গিয়েও অভিযোগ ওঠে—অর্থনৈতিক অধঃপতন,…